এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:

চলতি বর্ষা মৌসুমে ঈদগাঁওতে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে জন ও যানবাহন চলাচলে দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে। চলাফেরা করতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও চাকরীজীবিরা। জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁওর প্রধান ডিসি সড়কটি উচু করে নির্মাণ করায় রাস্তার দু’পাশ জুড়ে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিচু হয়ে যাওয়ার ফলে বৃষ্টির পানি জমে তাদের ব্যবসা বানিজ্যে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে তারা চরমভাবে বিপাকে পড়েছে। এমনকি মসজিদ গলি সহ নানা অলিগলিতে বৃষ্টির পানি জমে জনও যানচলাচল অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। মাছ ও তরিতরকারী পঁচাপানি আর কর্দমাক্তে সয়লাব হয়ে পড়েছে। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী নদী পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি খাল-বিল পানিতে থৈ থৈ করছে। টানা ২/৩ দিন ধরে থেমে থেমে প্রবল বৃষ্টিপাতে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের পাড়া মহল্লার লোকজন প্রয়োজনীয় কাজে উল্লেখ্যযোগ্য হারে সময় দিতে হিমশিম খাচ্ছে। পাশাপাশি গ্রামীণ সড়কে কর্দমাক্ত আর বড় বড় খানাখন্দকে পানি জমে থাকার ফলে যান চলাচল অনেকটা দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এমনকি অতি কষ্টের বিনিময়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাঙ্গনে যেতে দেখা যায়। এমনকি এ বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষেত্রে কাঁচা তরকারী ব্যবসায়ীরা দ্বিগুন দাম নিচ্ছে তরকারীর ক্ষেত্রে। এমন অভিযোগ দূরদূরান্তের বেশ কয়েকজন লোকজনের। আবার ৩ জুন ভোর সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টির কারণে ঈদগাঁও বাজারের অধিকাংশ দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ যোগ্য তেমন কোন মানুষজন নেই বাজারে। আবার বৃষ্টিপাতের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যানবাহন চালকরা ‘ঝুপ বুঝে কোপ মারার’ লক্ষ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এমনকি ভাড়া সঠিক ভাবে দিতে চাইলেও কয়েকজন কথিত চালকরা যাত্রীদেরকে চেপে ধরে জোর করে ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুন আকারে। নিরুপায় হয়ে যাত্রীসাধারণ ঐ অর্থ দিতে বাধ্য হচ্ছে।